কোয়ারেন্টিন থেকে কোয়ারেন্টিনেঃ রুশো, রবিনসন ক্রুসো আর ‘আমি’ — ক্যাথরিন মালাবু

বোধিচিত্ত
6 min readAug 28, 2021

--

[ক্যাথরিন মালাবু (Catherine Malabou) ফরাসি দার্শনিক। কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ইউরোপীয় দর্শন গবেষণা কেন্দ্রের দর্শন বিভাগের এবং আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউরোপীয় ভাষা ও সাহিত্য এবং তুলনামূলক সাহিত্য বিষয়ের অধ্যাপক। এক্যোল নরমেল সুপিরিয়রে পড়েছেন এবং পিএইচ ডি করেছেন প্রখ্যাত দার্শনিক জ্যাক দেরিদার তত্ত্বাবধানে। প্লাস্টিসিটির (plasticity) ধারণা তাঁর দর্শনের কেন্দ্রীয় উপজীব্য। তিনি হেগেলের কাজের বিশ্লেষণের মারফতে এই ধারণাকে সামনে নিয়ে আসেন। The Future of Hegel: Plasticity, Temporality and Dialectic নামে তাঁর পিএইচ ডি অভিসন্দর্ভটি বই আকারে ১৯৯৬ সালে বের হয়েছে। এই বইয়ের মুখবন্ধ লিখেছেন জ্যাক দেরিদা, শিরোনাম “The time for farewells: Heidegger (read by) Hegel (read by) Malabou”। পরবর্তীতে দেরিদা ও জুডিথ বাটলারের সাথে যৌথভাবে বই প্রকাশ করেছেন। Morphing Intelligence: From IQ Measurement to Artificial Brains (২০১৯) তাঁর সম্প্রতি প্রকাশিত বই।

করোনাভাইরাস মহামারী প্রসঙ্গে গত ২৩ শে মার্চে মালাবু’র To Quarantine from Quarantine: Rousseau, Robinson Crusoe, and “I” শিরোনামের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। মালাবু’র এই লেখাটি অনুবাদ করেছেন অলিউর সান। অলিউর সান নিজেকে নন-ফিলোসফার বা ন-দার্শনিক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ]

১৭৪৩ সালের মে মাসে কোন এক রহস্যজনক রোগে মৃত ক্রুদের বহনকারী একটি জাহাজ কর্ফু থেকে মেসিনাতে পৌঁছাল। জাহাজ এবং কার্গোটিকে পুড়িয়ে ফেলা হল। কিন্তু এর পরপরই হাসপাতাল আর শহরের বস্তিগুলোতে একটি অদ্ভুত নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে শুরু করল এবং গ্রীষ্মকালে মহামারী আকারে জন্ম নিলো এক ভয়াবহ প্লেগ, যেটি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়ে সিসিলির অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই গায়েব হয়ে গেল। এসময় রুশো প্যারিস হতে ভেনিসে যাচ্ছিলেন, কিন্তু মহামারীর কারণে জেনোয়াতেই আটকে যান। কনফেশনস (১৭৮২) গ্রন্থে তিনি তাঁর কোয়ারেন্টিন পর্বের বর্ণনা করেন এভাবেঃ

মেসিনাতে তখন প্লেগের সময়। ইংরেজ নৌবাহিনী সেখানে নোঙর গেড়েছিল ও আমাকে বহনরত ফেলুকাটি পরিদর্শনের জন্য এসেছিল। আর এই পরিস্থিতির কারণে এক দীর্ঘ ও কঠিন সমুদ্রযাত্রা শেষে পৌঁছানোর পরে আমরা একুশ দিনের কোয়ারেন্টিনে সাব্যস্ত হয়েছিলাম।

যাত্রীদের জাহাজেই অথবা লাজারেতোতে থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। যদিও আমাদের বলা হয়েছিল যে, জায়গাটি তখনও বাসযোগ্য হয়নি। সবাই ফেলুকাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিলো। অসহ্য গরম, জাহাজের সংকীর্ণতা, ভেতরে চলাফেরার অসাধ্যতা আর জাহাজভর্তি ইঁদুরের কারণে আমাকে সকল ঝুঁকিসমেত লাজারেতো’ই বেছে নিতে হল। ফলস্বরূপ আমাকে প্রায় ফাঁকা একটি বড় দোতলা ভবনে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে আমি কোন জানালা, বিছানা, টেবিল কিংবা চেয়ার তো খুঁজে পেলামই না, কোন পিঁড়ি কিংবা খড়ের আঁটিও পেলাম না। রাতে ঘুমানোর ছালা আর আমার দুটো ট্রাঙ্ক এনে দিয়ে বিরাট দরজায় মস্ত তালা ঝুলিয়ে আমাকে ভেতরে আটকানো হল। আর দেয়া হল চেম্বারে চেম্বারে কিংবা তলায় তলায় হাটার পূর্ণ স্বাধীনতা, যার সবখানেই খুঁজে পেলাম একই নিঃসঙ্গতা আর রিক্ততা।

যদিও একারণে ফেলুকার বদলে লাজারেতো বাছাই করেছি দেখে আমাকে অনুতপ্ত হতে হয়নি। ঠিক আরেক রবিনসন ক্রুসোর মতো আমি নিজেকে আসন্ন একুশ দিনের জন্য গুছিয়ে নিতে শুরু করলাম যেমনটা আমার সারা জীবনই করা উচিত ছিল। প্রথমেই ফেলুকা থেকে আমার সাথে আসা ইঁদুরগুলোকে মারার বিনোদন পেলাম। সেগুলোকে সরিয়ে ফেলার সাথে সাথে কাপড়-চোপড় বদলে ফেলে আমার বেছে নেয়া চেম্বারটা সাজাতে শুরু করলাম। আমার ওয়েস্টকোট আর শার্টগুলো দিয়ে একটা ভালো তোশক বানিয়ে ফেললাম। ন্যাপকিনগুলো একসাথে সেলাই করে সেগুলো দিয়ে চাদর, চেম্বারে পরার রোব দিয়ে বিছানার চাদর আর জোব্বাটা দিয়ে একটা বালিশ বানালাম। একটা ট্রাঙ্ক সমান করে শুইয়ে দিয়ে সিট আর অন্যটা দিয়ে টেবিল বানিয়ে নিলাম। কিছু কাগজ আর একটা দোয়াত-কালি বের করে আমার সাথে থাকা এক ডজন বইগুলোকে একটি লাইব্রেরীর মতো করে সাজালাম। এককথায়, আমার সাথে থাকা জিনিসপত্রগুলোকে এত ভালোভাবে সাজালাম যে, রু ভার্দেলেতের টেনিস কোর্টে যেমন সুসজ্জিত ছিলাম এই ফাঁকা লাজারেতোতেও পর্দা আর জানালা ছাড়া ঠিক প্রায় তেমন অবস্থা পেলাম। আমার খানা পরিবেশনও কোন অংশে কম আড়ম্বরপূর্ণ ছিলনা। অস্ত্র সজ্জিত দুজন সৈন্যের প্রহরায় আমার প্রতি বেলার ভোজ পরিবেশিত হত। সিঁড়িটি ছিল আমার ভোজন কক্ষ, অবতরণস্থলটি টেবিল আর ধাপগুলো সিট। আমার খাবার পরিবেশনের সাথে সাথে একটি ছোট ঘন্টা বাজিয়ে জানানো হত যে আমি খাবার টেবিলে বসতে পারি।

ভোজ আয়োজনের মধ্যবর্তী সময়ে যখন আমি পড়া অথবা লেখা কিংবা এপার্টমেন্ট সাজানোর কাজ না করতাম, তখন আমি প্রোটেস্ট্যান্টদের কবরস্থানে হাঁটতে যেতাম যেটি আমার জন্যে উঠান হিসেবে কাজ করতো। এই জায়গা থেকে আমি বন্দরের দিকে মুখ করা একটি লণ্ঠনে উঠতাম আর সেখান থেকে জাহাজগুলোর আসা যাওয়া দেখতাম। এভাবেই আমার চৌদ্দ দিন কেটে গেল।[i]

যখন বৈশ্বিক মহামারীর কারণে পুরো মানবজাতিকে ‘ঘরে থাকুন’ বলা হল, আমার সাথে সাথেই কনফেশনস থেকে এই অংশটির কথা মনে পড়ে গেল। যখন তাঁর দুর্ভাগ্যের সঙ্গীরা সবাই একসাথে জাহাজে থাকার সিদ্ধান্ত নিলো, রুশো তখন লাজারেতোতে বন্দি থাকাকেই বেছে নিলো। লাজারেতো হলো সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল। ফেলুকা বা ভূমধ্যসাগরীয় জাহাজও কোয়ারেন্টিনের জন্য ব্যবহার করা হত। অবশ্যই জেনুয়াতে ভ্রমণকারীদেরই শুধু এই দুটো সুযোগ দেয়া হয়েছিল। আর রুশোর মনে হয়েছিল জাহাজ ছেড়ে নিজে নিজে ভবনটিতে থাকাই তাঁর জন্যে শ্রেয়।

এই ঘটনাটিকে অনেকে শুধুমাত্র বাছাই-করার ধারণার ভিত্তিতে পড়তে পারেনঃ আবদ্ধ থাকার সময় কোনটা করা সর্বোত্তম? অন্য মানুষের সাথে কোয়ারেন্টিনে থাকা? নাকি একা একা কোয়ারেন্টিনে থাকা? আমাকে স্বীকার করতে হবে যে, আমি নিজেও এরকম একটি বিকল্প ভেবে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছি। আমার কাছে যদি এই দুটো অপশনের মধ্যে থেকে বেছে নিতে বলা হত, তাহলে আমি কী করতাম? (প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি যে, আমি বর্তমানে একা একা ক্যালিফোর্নিয়ার আরভিনে প্রায় পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছি।)

তবে এই রচনাংশে হয়তো আরও অন্তর্নিহিত কিছু আছে — সেটি হচ্ছে কোয়ারেন্টিন তখনই শুধুমাত্র সহনীয় যখন আপনি তা থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকেন — যদি আপনি কোয়ারেন্টিনের ভেতরেই কোয়ারেন্টিনে থাকেন এবং বলতে গেলে, একই সাথে এই ‘থাকা’ থেকেও [কোয়ারেন্টিনে থাকেন]।

লাজারেতো’টি আসলে এই দ্বিগুণ কোয়ারেন্টিনের প্রতীক যেটি একই সাথে যূথবদ্ধ অন্তরণ থেকে রুশোর নিজেকে অন্তরীণ রাখার প্রয়োজনীয়তাকেও বুঝায়। অর্থাৎ এই অন্তরীত অবস্থার মধ্যেই আরেকটি একান্ত দ্বীপ তৈরি করা। কিছু লোকের সাথে একটি জাহাজে আটকে থাকা নিশ্চয়ই এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার অনুভূতির জন্ম দেয়, কিন্তু এই বিচ্ছিন্নতা নির্জনতা(solitude) নয় এবং বাস্তবে নির্জনতাই আবদ্ধ দশাকে সহনীয় করে তোলে। এমনকি যিনি ইতোমধ্যে একা একাই থাকছেন এটি তার ক্ষেত্রেও সত্য। আমি লক্ষ্য করেছি যে নিজের ভেতর অবগাহনের অক্ষমতা আসলে আমার জনবিচ্ছিন্নতাকে আরো দুর্বিষহ করে তুলছিল।

তাই সেই একান্ত বিন্দুটি খোঁজা যেখানে আমি স্বয়ং নিজে (My self, দুইটি শব্দে) বিরাজ করতে পারি। আমি এখানে নির্ভেজালত্বের কথা বলছি না। বলছি কেবলই আত্মার এক চূড়ান্ত নগ্নতার কথা যা নিজের ঘরে বসত বানাতে দেয়, বলছি মনস্তাত্ত্বিক সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে ঘরটিকে বাসযোগ্য করে তোলার কথা যাতে কিছু একটা করা সম্ভবপর হয়, আমার ক্ষেত্রে যেটি হল লেখা।

আমি খেয়াল করেছি যে লেখা তখনই সম্ভব হয়েছে যখন আমি এরকম বন্দিত্বের ভেতরে বন্দিত্বে পৌঁছেছি, স্থানের অভ্যন্তরে আরেকটি স্থান যেখানে আর কারও প্রবেশ নেই এবং যেটি একই সাথে অন্যদের সাথে আমার যোগাযোগের একটি পূর্বশর্তও বটে। যখন আমি লেখার ভেতরে ডুবে যেতে পারতাম, তখন যেন স্কাইপের কথাবার্তাও অন্যরকম হয়ে উঠত। সেগুলো প্রচ্ছন্ন একলাপেরআমি খেয়াল করেছি যে লেখা তখনই সম্ভব হয়েছে যখন আমি এরকম বন্দিত্বের ভেতরে বন্দিত্বে পৌঁছেছি, স্থানের অভ্যন্তরে আরেকটি স্থান যেখানে আর কারও প্রবেশ নেই এবং যেটি একই সাথে অন্যদের সাথে আমার যোগাযোগের একটি পূর্বশর্তও বটে। যখন আমি লেখার ভেতরে ডুবে যেতে পারতাম, তখন যেন স্কাইপের কথাবার্তাও অন্যরকম হয়ে উঠত। সেগুলো প্রচ্ছন্ন একলাপের(monologuemonologue) বদলে সংলাপ হয়ে উঠতো। লেখা সম্ভব হত যখন নির্জনতা আমাকে জনবিচ্ছিন্নতা থেকে সুরক্ষিত রাখত। অন্যদের কাছ থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন হবার পরেও তাঁর সত্তার সাথে লেগে থাকা সকল রাখ-ঢাক, কাপড়-চোপড়, পর্দা, মুখোশ আর অর্থহীন বাতচিৎ খুলে ফেলতে হবে।সামাজিক দূরত্ব দূরত্বে থেকে যাওয়া সমাজের অবশিষ্টাংশ খুলে ফেলতে কখনোই যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলনা। স্থানিক-আশ্রয়কে এক চরম রবিনসন-ক্রুশো-অভিজ্ঞতা হতে হয়, এমন এক অভিজ্ঞতা যা মানুষকে শূন্য থেকে ঘর বানাতে শেখায়। নতুনভাবে শুরু করতে কিংবা স্মরণ রাখতে শেখায়।

আমি ভাবি যে ফুকো তার জীবন সায়াহ্নে এসে এই একই কারণে আত্মসত্তার নীতিশাস্ত্র — আত্মসত্তার যত্ন, আত্মসত্তার প্রযুক্তি, আত্মসত্তার শাসনের ভাবনায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন কি-না। এইডস ভেতরে ভেতরে যেই সামাজিক বিচ্ছিন্নতার হুমকি তাঁকে জানান দিয়ে যাচ্ছিল, তার অভ্যন্তরেই কি নিজের জন্য একটি জায়গা তৈরি করার তাগিদ ছিল এটি? সম্ভবত ফুকো তাঁর নিজের দ্বীপটি খুঁজছিলেন, তাঁর পরমআমি ভাবি যে ফুকো তার জীবন সায়াহ্নে এসে এই একই কারণে আত্মসত্তার নীতিশাস্ত্র — আত্মসত্তার যত্ন, আত্মসত্তার প্রযুক্তি, আত্মসত্তার শাসনের ভাবনায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন কি-না। এইডস ভেতরে ভেতরে যেই সামাজিক বিচ্ছিন্নতার হুমকি তাঁকে জানান দিয়ে যাচ্ছিল, তার অভ্যন্তরেই কি নিজের জন্য একটি জায়গা তৈরি করার তাগিদ ছিল এটি? সম্ভবত ফুকো তাঁর নিজের দ্বীপটি খুঁজছিলেন, তাঁর পরম(পর-ওম, ab-solutus পর-ওম, ab-solutus) জমি, যেখানে মৃত্যুর আগে তিনি খুঁজে পেতেন তাঁর বলার ও লেখার সাহস। যারা তাঁর শেষ সেমিনারগুলোতে রাজনীতি থেকে চূড়ান্ত নাস্তিমূলক অহংবাদী অপগমন দেখেছিলেন, তাঁদের কাছে বিষয়টি পুরোপুরি অলক্ষ্যে থেকে গেছে।

আমরা জানি যে, কার্ল মার্ক্স, রুশোর মত আঠারশো শতকের রবিনসন-গোত্রীয়দের নিয়ে ঠাট্টা করেছিলেন। মার্ক্স বলেছিলেন যে, প্রকৃতির কোন এক অবস্থায় বিচ্ছিন্ন মানুষদের অবশেষে সাক্ষাৎ ঘটে এবং তাঁরা সেখানে একটি গোষ্ঠী তৈরি করে — এভাবে কোন উপায়েই সমাজের উৎপত্তি হতে পারে না। নির্জনতা সমাজের উৎস হতে পারে না।

এটা হয়তো সত্যি, কিন্তু আমি মনে করি যে রাজনীতির অর্থ বুঝতে গেলে কিভাবে একজনের ভেতরে সমাজকে খুঁজতে হয় এটা জানা প্রয়োজন। যারা কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভুত সংকটকে বৈশ্বিক রাজনীতি, পুঁজিবাদ, জরুরী অবস্থা, পরিবেশগত সংকট, চীন-যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার কৌশলগত সম্পর্ক ইত্যাদির আলোকে বিশ্লেষণ করতে পারছেন তাঁদেরকে আমি সমাদর করি। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তে আমি উল্টো ‘পৃথগাত্মা’ হওয়ার চেষ্টা করছি। এটি আবার কোন অহংবাদ থেকে নয়। কারণ আমি বরং মনে করি কখনো কখনো প্রত্যাহার, স্থগন, সামাজিকতাকে বন্ধনীকৃত করা ভিন্নতায় পৌঁছানোর একমাত্র মাধ্যম, দুনিয়ার সকল বিছিন্ন মানুষের সাথে একাত্ম হওয়ার একটি উপায়। এ কারণেই আমি একাকীত্বের মাঝে যথাসম্ভব আরও একাকী হওয়ার প্রচেষ্টায় আছি। এ কারণেই আমিও লাজারেতো’টি বেছে নিতাম।

____________

২৩শে মার্চ, ২০২০

পাদটীকা

[i] Jean Jacques Rousseau, The Confessions, trans. pub., 2 vols. (London, 1903), 1:273–74.

প্রথম প্রকাশঃ ১২ই এপ্রিল, ২০২০

সর্বশেষ সংশোধনঃ ১২ই এপ্রিল, ২০২০

লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/398406594498961/

https://sites.google.com/view/bodhichitta/%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%B0/%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%A5%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%B6-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%B0%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%AC

--

--

বোধিচিত্ত

বোধের জাগরণকে উসকে দেয়ার প্রয়াস। A South Asian Platform for Interdisciplinary Studies. Based in Dhaka.